All information about bKash
Bkash
Bkash দিয়ে টাকা পাঠানো, বিল পরিশোধ, কেনাকাটা আরও অনেক কিছু হাতের মুঠোয়।
Use a mobile version to see all the information.
প্রয়োজনীয় কিছু বিবরণ
পুরো নাম:
বিকাশ
বিনিয়োগকারী:
ব্রাক ব্যাংক...
প্রকাশিত দেশ:
বাংলাদেশ
ব্যবহার করা যায়:
শুধুমাত্র বাংলাদেশ
উপলব্ধ প্ল্যাটফর্ম:
অ্যান্ড্রয়েড, অ্যাপেল, USSD
ওয়েবসাইট:
ইমেইল এড্রেস:
support@bkash.com
যোগাযোগ নাম্বার:
02-55663001🌍 - (16247🇧🇩)
সার্ভিস ফি:
লেনদেনের সময় চার্জ প্রযোজ্য
ক্যাটাগরি:
আর্থিক
ওয়েবসাইট:
10 জানুয়ারি 2010(Registered)
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
24 এপ্রিল 2018(Published)
ফেসবুক পেজ
13 জুলাই 2011(created )
ইউটিউব চ্যানেল
04 অক্টোবর 2011(Created)
বিকাশ এর সার্ভিস গুলো
টাকা পাঠানো
bKash ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে অন্য bKash অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন। এটি দ্রুত, নিরাপদ এবং সহজ।
মোবাইল রিচার্জ
bKash অ্যাপ বা ইউএসএসডি কোড (*247#) ব্যবহার করে যেকোনো মোবাইল নম্বর রিচার্জ করা যায়। এটি প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড উভয় ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী।
বিল পরিশোধ
ইউটিলিটি বিল, যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট এবং টেলিভিশন বিল, bKash-এর মাধ্যমে সহজেই পরিশোধ করা যায়।
নগদ উত্তোলন
bKash অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য দেশজুড়ে অসংখ্য এজেন্ট পয়েন্ট এবং এটিএম রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের জন্য নগদ টাকা উত্তোলনের একটি সহজ উপায়।
ব্যাংক লেনদেন
bKash অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যায় এবং ব্যাংকবা কার্ডথেকে bKash-এ টাকা যোগ করা যায়। এটি আর্থিক লেনদেনকে আরও নমনীয় করে তুলেছে।
অনলাইন পেমেন্ট
bKash ব্যবহার করে ই-কমার্স সাইট, অনলাইন শপিং এবং বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারের পেমেন্ট করা যায়। এটি অনলাইন লেনদেনকে নিরাপদ এবং দ্রুত করেছে।
সঞ্চয়
bKash-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের টাকা সঞ্চয় করতে পারেন এবং সুবিধাজনক সময়ে তা উত্তোলন করতে পারেন।
মাইক্রোফাইন্যান্স
bKash-এর মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান এবং পরিশোধের সুবিধা রয়েছে, যা গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
ডিজিটাল ওয়ালেট
bKash অ্যাকাউন্টটি একটি ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে কাজ করে, যেখানে ব্যবহারকারীরা টাকা জমা রাখতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।
প্রোমোশনাল অফার
bKash নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রোমোশনাল অফার এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য অতিরিক্ত সঞ্চয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে।
আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স
bKash-এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরাসরি তাদের bKash অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন, যা দ্রুত এবং নিরাপদ।
শিক্ষা ফি পরিশোধ
bKash-এর মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ করা যায়, যা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক।
স্বাস্থ্য সেবা পেমেন্ট
bKash ব্যবহার করে হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করা যায়, যা স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণকে আরও সহজ করে তুলেছে।
ডিজিটাল সেবা
bKash-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা, যেমন ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রয়, গেম রিচার্জ এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট করা যায়।
এটি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেশুরু করে শহরাঞ্চল পর্যন্ত সকল মানুষের আর্থিক সেবা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করেছে।
বিকাশ সম্পর্কে কিছু কথা
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।
এই পরিবর্তনের অন্যতম পথপ্রদর্শক হলো বিকাশ, যা ২০১১ সালে চালু হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় পরিণত হয়েছে।
নগদ অর্থের আদান-প্রদানের প্রচলিত পদ্ধতিকে ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
বিকাশের উত্থান ও প্রসার
বিকাশের যাত্রা শুরু হয় ব্র্যাক ব্যাংকের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, এটি সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে।
বিশেষ করে শহর থেকে গ্রামে অর্থ পাঠানোর সহজ মাধ্যম হিসেবে এটি প্রথমদিকে জনপ্রিয়তা পায়, পর্যায়ক্রমে এর সেবা আরও বিস্তৃত হয়, এবং আজ দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও এটি পৌঁছে গেছে।
দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে আর্থিক লেনদেন সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে বিকাশ একটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, দিনমজুর ও শ্রমিকদের মাসিক বেতন, ব্যবসায়িক লেনদেনসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
কেন বিকাশ এত জনপ্রিয়?
বিকাশ জনপ্রিয় হওয়ার কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে প্রথমত, এটি অত্যন্ত সহজ ও ব্যবহারবান্ধব সাধারণ ফিচার ফোন থেকে শুরু করে স্মার্টফোন ডিভাইস গুলোতে এটি সহজেই ব্যবহার করা যায়।
দ্বিতীয়ত, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এর এজেন্ট নেটওয়ার্ক বিস্তৃত, যা নগদ উত্তোলন ও জমার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলেছে।
বিকাশকে সরকার অনুমোদিত ও নিয়ন্ত্রিত একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচালনা করা হয়, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি হয়নি।
নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থা ও দ্রুত অর্থ আদান-প্রদানের সুবিধার কারণেও এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
অর্থনীতিতে বিকাশের প্রভাব
বিকাশ শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে লেনদেনের সুবিধা দেয়নি, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বিকাশ ব্যবহার করে সহজেই লেনদেন পরিচালনা করতে পারেন, যা তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়িয়েছে।
বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে লাখো শ্রমিক এখন বিকাশের মাধ্যমে তাদের বেতন পান, এটি শুধু সময় বাঁচিয়েছে তাই নয়, নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনার ঝুঁকিও কমিয়েছে।
ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার প্রসারের ফলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা
বিকাশের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও কিছু চ্যালেঞ্জও বিদ্যমান যা সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় লেনদেন ফি নিয়ে, অনেক গ্রাহক মনে করেন, নগদ উত্তোলনের চার্জ তুলনামূলকভাবে বেশি, যা সাধারণ মানুষের জন্য বাড়তি ব্যয় তৈরি করে।
এছাড়া, বিকাশ প্রতারণা ও জালিয়াতির শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, ভুয়া কাস্টমার কেয়ার কল, প্রতারণামূলক মেসেজ ইত্যাদির মাধ্যমে অনেক গ্রাহক অর্থ হারিয়েছেন, যদিও এসব প্রতিরোধে বিভিন্ন কোম্পানিটি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এবং তারা একটি অনেকটাই নিজেদের কন্ট্রোলে নিয়ে, তারপরও প্রতারণা রোধে আরও সচেতনতা প্রয়োজন এবং আগের তুলনায় এটি অনেকটাই কমে গেছে এখন।