একজন বাংলাদেশী অভিজ্ঞ ওপেনার ব্যাটসম্যান তার অনেকগুলো রেকর্ড রয়েছে।
Tamim Iqbal খান বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এবং সফল ওপেনার ব্যাটসম্যান, যিনি দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করেছেন বাংলাদেশের হয়ে।
২০ মার্চ ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করা তামিমের পরিবারে ক্রিকেট ছিল রক্তের সঙ্গে মিশে থাকা একটি ঐতিহ্য। তাঁর চাচা আকরাম খান বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং ছোট ভাই নাফিস ইকবালও জাতীয় দলে খেলেছেন।
এমন একটি ক্রীড়াপ্রেমী পরিবার থেকে উঠে এসে তামিম নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে, সেই সময় থেকেই তাঁর ব্যাটিংয়ের আক্রমণাত্মক ধরণ ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন তোলে।
তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ওয়ানডে ফরম্যাটে ৮,০০০-এর বেশি রান করেছেন, এছাড়া টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও তিনি অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন।
Tamim Iqbal শুধু রান সংগ্রাহকই নন, তিনি একজন দায়িত্বশীল অধিনায়কও, ২০২০ সালে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তিনি দলের মধ্যে নতুন উদ্যম নিয়ে এসেছেন।
Tamim Iqbal এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করেছে এবং একাধিক সিরিজ জিতেছে।
তামিমের খেলার ধরন সবসময় আক্রমণাত্মক এবং আত্মবিশ্বাসী।
ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর কাজ ছিল দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়া, যা তিনি সফলভাবেই করে এসেছেন বছরের পর বছর ধরে।
তাঁর পুল শট এবং কাভার ড্রাইভগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
তবে ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময় চোট এবং ফর্মহীনতার কারণে তাঁকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা সত্ত্বেও, তিনি সবসময় ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাঁর অবদান শুধুমাত্র মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তামিম একাধিক সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির সময় তিনি নিজের সহকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং আর্থিক সাহায্য করেছেন।
২০১৩ সালে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে, যাকে নিয়ে তামিম সবসময় পরিবারকেন্দ্রিক জীবনযাপন করেন। তিনি খেলার বাইরে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন।
তাঁর ক্যারিয়ার কেবল সাফল্যে পূর্ণ নয়, বরং তা অনেক চ্যালেঞ্জ এবং ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পে সমৃদ্ধ।
ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য একটি মডেল হয়ে থাকবেন।
তাঁর খেলার প্রতি নিবেদন, শৃঙ্খলা, এবং দেশপ্রেম তাঁকে সব সময় আলাদা করে রাখবে।
তিনি কেবল একজন ক্রিকেটার নন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের একটি জীবন্তকিংবদন্তি।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যেমন লেখক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, ক্রীড়াবিদ, এবং অন্য পেশাজীবীদের সহ বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর গল্পও তুলে ধরা হয়।